ইউসুফ জুলেখা পর্ব 15 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 15 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী - এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইউসুফ আলাইহিস সালাম জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মিশরের শক্তিশালী প্রধানদের একজন হয়ে উঠেছেন। তার প্রজ্ঞা ও সত্যবাদিতার জন্য ফারাও তাকে মর্যাদা দিয়েছেন। পুরো দেশে দুর্ভিক্ষ তার কল্পনায় ছিল, আর ইউসুফই সেই দুর্ভিক্ষের সময়ে খাদ্য সংরক্ষণ ও বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন।
একদিন, ইউসুফ আলাইহিস সালাম তার ভাইদের খুঁজে পেয়েছিলেন, যারা অনাহারে কপাল ফিরে এসেছিল। তারা মিশরে এসে খাদ্য সাহায্য চেয়ে তার কাছে গিয়েছিল। তারা জানত না যে, তারা যার কাছে এসেছে, সেই তাদের নিষ্ঠুর অতীতের ইউসুফ। ইউসুফ তাদের মুখোমুখি হয়ে তাদের পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। তিনি তাদের সাথে বিনয় ও নম্রতার সাথে কথা বললেন।
ভাইদের প্রতি তার হৃদয়ে এক ধরনের অনুভূতি জাগল। কিন্তু তিনি নিজেদের কৌশল অনুযায়ী যাচাই করতে চাইলেন। ইউসুফ আলাইহিস সালাম তাদের বললেন, "আমি তোমাদের খাবার দেব, কিন্তু তোমাদের জন্য একটি পরীক্ষা হবে। তোমাদের থেকে একজনকে এখান থেকে যেতে হবে, বাকিরা থাকতে পারবে কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে একজনকে রেখে যেতে হবে।"
এবার ভাইরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল। তারা ভাবল, "আমরা তো এমনিতেই এতো দিন বিচ্ছিন্ন পরিণতির মধ্যে ছিলাম, কীভাবে আবার এ পরিস্থিতিতে পড়ব?" তবে শেষে তারা সিদ্ধান্ত নিল, তাদের মধ্যে এক ভাই তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে।
ইউসুফ আলাইহিস সালাম তাদের ইচ্ছার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বললেন, "ঠিক আছে, তুমি তোমার ছোট ভাইকে নিয়ে আসো। আমি তার জন্য খাদ্য দেব। তবে জানার সে আমার ছোট ভাই।" এই কথায় ইউসুফের চোখে জল এসে গেল, কারণ তিনি বুঝতে পারলেন যে, কতটা কষ্ট তিনি সহ্য করেছেন।
তাদের মধ্যে আবেগ জেগে উঠলো, এবং ইউসুফ আলাইহিস সালাম তার ভাইদের প্রতি দয়াবানতার আচরণ শুরু করলেন। তিনি তাদের জানান দিলেন যে তিনি তাদের জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করবেন, যেন তারা শান্তিতে বাস করতে পারেন।
কিন্তু কি হবে সবশেষে? ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবনের এই অধ্যায় কি কেবলই শূন্যতার এক বহিঃপ্রকাশ? নাকি তার সহযোদ্ধা ইচ্ছার নিয়মে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা? পরের পর্বে জানবো ইউসুফের জীবনের এই ভিন্নতা, জুলেখার অনুরাগ, এবং কি পরিণতি হয় তাদের।
আল্লাহ আমাদের সাহস ও ধৈর্য দান করুন, যেন আমরা এই সতীনের কাহিনীগুলো থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারি।