Seneste videoer
ইউসুফ জুলেখা পর্ব ৪৫ | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
যখন ইউসুফ আলাইহিস সালাম জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মিশরের শাসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হলেন, তার প্রজ্ঞা ও সৎ গুণগুলো সমগ্র রাজ্যে ব্যাপক পরিচিতি পেল। মিশরীয় জনগণ তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আস্থা প্রকাশ করতে শুরু করল। ইউসুফ আলাইহিস সালাম কঠোর পরিশ্রম ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে রাজ্যের সব দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে থাকলেন।
একদিন, যখন তিনি মিশরের বাজারে গিয়েছিলেন, তখন একটি জনতার মাঝে জুলেখা তাকে দেখতে পেলেন। এখন তিনি ছিলেন একজন গর্বিত মহিলাও, কিন্তু ইউসুফ আলাইহিস সালামের মনে তার প্রতি ক্ষুদ্রতমও প্রতিক্রিয়া ছিল না। তিনি জানতেন, জুলেখার সাথে তার প্রাক্তন সম্পর্ক কেবল একটি দূর অতীতের স্মৃতি।
জুলেখা ইউসুফ আলাইহিস সালামের প্রতি যে আবেগ অনুভব করেছিলেন তা তাকে ভীষণভাবে আঘাত করছিল। কিন্তু ইউসুফ আলাইহিস সালাম আল্লাহর উপর ভরসা রেখে চলছিলেন এবং তার প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন, তাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে এবং তিনি যেন নবী হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে মনোনিবেশ করেন।
এক রাতে, আল্লাহ তাকে একটি স্বপ্ন দেখালেন, যেখানে তিনি দেখতে পেলেন একটি গমের ক্ষেতেৎ যা শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে তিনি বুঝতে পারলেন, দেশের ওপর একটি দুর্ভিক্ষ আসছে। ফলে, তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করলেন যাতে খাদ্য সংগ্রহ করা যায় এবং জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে কাজ করা যায়।
তাঁর উদ্যোগে বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ শুরু হলো এবং মিশরের জনগণ সুস্থ, সবল ও সুখী জীবনের দিকে এগিয়ে চলল। এভাবে ইউসুফ আলাইহিস সালাম তার রাজ্যের সেবায় অবিরত কাজ করে গেলেন এবং আল্লাহর গুণাবলীর মাধ্যমে নতুন যুগ সৃষ্টি করলেন।
এখন ইউসুফ আলাইহিস সালাম আর্থিক সমৃদ্ধি এবং সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে, মিশরের রাজ্যে তার গুণমান, প্রজ্ঞা এবং সদাচারী চরিত্র তাকে সর্বসমক্ষে একটি আদর্শ বানিয়ে দিয়েছিল। তিনি হয়ে উঠলেন কেবল এক মহান নেতা নন, বরং দক্ষ, মানবিক এবং দয়ালু একজন নবী।
এভাবে, ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমরা বুঝতে পারি যে রাস্তার বাঁকগুলি কখনও কখনও জটিল হতে পারে, কিন্তু সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকা সর্বদা আমাদের কে আল্লাহর সাহায্যে এগিয়ে নিয়ে যায়।
পরবর্তী পর্বে আমরা দেখব কীভাবে বিদেশি জাতির লোকেরা তাঁর কাছে আসতে শুরু করল এবং তিনি কিভাবে সবার কাছে একটি উদাহরণ হয়ে উঠলেন।
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 43 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
ইউসুফ আলাইহিস সালাম এবং জুলেখার কাহিনীর এই পর্বে আমরা দেখবো কিভাবে জুলেখা ইউসুফের প্রতি তার প্রেম গোপন রাখতে পারেনি। তার অন্তরে জ্বলন্ত আগুন আরো তীব্র হতে থাকে। একদিন, যখন ইউসুফ আলাইহিস সালাম প্রাসাদের প্রাঙ্গণে একা ছিলেন, তখন জুলেখা সাহস করে তার কাছে আসেন।
"হে ইউসুফ," সে বলল, "আমি জানি তুমি আল্লাহর এক বিশেষ রিত্র। আমি তোমার প্রতি আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে চাই।" ইউসুফ আলাইহিস সালাম তার দিকে তাকিয়ে বললেন, "জুলেখা, আমি আল্লাহর একজন বান্দা। আমি তোমার দ্বারা প্রলুব্ধ হবো না।"
এভাবে তারা দুজনার মধ্যে একাকীত্বের মুহূর্তে ঘটে গেলো এক মহৎ বাক্যবিনিময়। ইউসুফ আলাইহিস সালাম তার আত্ম-সম্মান এবং আল্লাহর প্রতি ঈমানের জন্য দৃঢ় ছিলেন। কিন্তু জুলেখার মনে একদিকে ছিল বাসনা, অন্যদিকে ছিল তার স্বামীর শাসন।
একদিন, জুলেখা এক চক্রান্ত তৈরি করেন। তিনি অন্যান্য মহিলাদের সঙ্গে মিলে ইউসুফকে অসম্মান করার ষড়যন্ত্র রচনা করেন। তারা সবাই মিলে বলেন, "আমাদের প্রভুর বিরুদ্ধে কথা বললেই তো হয়, আমরা তাকে প্রকাশ্যে লজ্জিত করতে পারি।"
তাদের ষড়যন্ত্র চলতে থাকে, কিন্তু ইউসুফ আলাইহিস সালাম সবসময় ছিলেন সতর্ক। আল্লাহর সাহায্য তার সঙ্গে ছিল। তিনি জানতেন, সত্যের পথে থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
এখন দেখা যাক, এই বিভ্রান্তির মাঝে কিভাবে আল্লাহ তার বান্দাকে রক্ষা করেন এবং সত্যের বিজয় ঘটে।
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 42 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম এর জীবনের এই পর্বে আমরা জানতে পারব, কিভাবে তিনি জুলেখার হৃদয়ে তৈরি হওয়া প্রেমের সংগ্রামের মাঝে নিজের বিশ্বাস ও বরকতের সাথে কঠোর চেষ্টা করেন। জুলেখা, যিনি মিশরের প্রতাপশালী এক নেতা ফারাঊনের স্ত্রী, ইউসুফকে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেম বলে মনে করতে শুরু করেন। যতই দিন যাচ্ছে, তাঁর মন থেকে ইউসুফের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে থাকে।
একদিন, জুলেখা ইউসুফকে একান্তে ডাকলেন। তাঁর মনে অবিরাম আশা ছিল যে, ইউসুফ তাঁর অনুভূতিগুলি বুঝতে এবং সাড়া দিতে পারবেন। কিন্তু ইউসুফ আলাইহিস সালাম, যিনি আল্লাহর প্রেরিত রসুল, নিজের সতীত্ব এবং ঈমানের পথে অবিচল রইলেন। তিনি জানতেন, এটি একটি কঠিন পরীক্ষা।
সেই সময় জুলেখা তাকে বললেন, “আমি জানি তুমি একজন মহান ব্যক্তি, কিন্তু আমার হৃদয় তোমার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। আমি চাই তুমি আমার সাথে থাকো।” ইউসুফ শান্তভাবে উত্তর দিলেন, “আল্লাহ কখনও ভাল কাজের জন্য অন্যায়ের দিকে যেতে অনুমতি দেন না। আমি আল্লাহর বিশ্বাসে দৃঢ় আছি। আপনার জন্য আমার হৃদয়ে কোনো স্থান নেই।”
এই পরিস্থিতিতে ইউসুফের বিশ্বাসের দৃঢ়তা তাকে সকল প্রকারের প্রলোভন থেকে রক্ষা করল। তিনি জানতেন, আল্লাহর কাছে আস্থা রাখা এবং সঠিক পথ অনুসরণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জুলেখার আবেগের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রমাণ করলেন, সত্যিকার প্রেম হল বিশ্বাস ও সতীত্বের সঙ্গে মেলবন্ধন।
এভাবে, ইউসুফ আলাইহিস সালাম সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নিজের আত্মাকে সংরক্ষণ করে যাচ্ছিলেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, যেকোনো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা ও তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত। তাঁর এই দৃঢ় সংকল্প সত্যিই অনুকরণীয়।
তবে জুলেখার মনে ইউসুফের প্রতি প্রেমের flames আরও উজ্জ্বল হতে লাগল। তিনি একাধিক চেষ্টা করলেন, কিন্তু প্রতিবারই ইউসুফের সততা এবং ঈমান তাকে স্তব্ধ করে দিল। এইভাবে, ইউসুফের কাহিনী আমাদের শেখায় যে, সঠিক পথে থাকা এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করা কখনও হারানো নয়।
নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম এর এই কাহিনী আমাদের জন্য একটি পাঠ, যে প্রতিটি বিশ্বাসীর উচিত তাদের ঈমানের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকা এবং আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা রাখা। পরবর্তী পর্বে আমরা দেখব, ইউসুফের চলার পথে কীভাবে আরও চ্যালেঞ্জ এবং পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়।
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 41 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
দীর্ঘ সময় পর, ইউসুফ আলাইহিস সালাম ফাঁসির হুমকির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি দেশটির বরেণ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের নিকট যে তিনি নিজে ছিলেন এক মহান নবী, তা বোঝানোর জন্য তিনি কঠোর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। ইউসুফ বলেন, "আমি আল্লাহর প্রেরিস্কৃতি, যে আমার মাধ্যমে তাঁর রাজ্যকে রক্ষা করবে এবং সত্যের পথ প্রদর্শন করবে।"
তাঁর কথা শুনে জুলেখার চোখে পানি চলে আসে। তিনি ইউসুফকে বলতে লাগলেন, "হে মহান নবী, তুমি যদি পৃথিবীকে সত্য ও ন্যায়ের শিক্ষা দাও, তাহলে আমি তোমার পাশে থাকবো।" ইউসুফ স্মিত মুখে বলেন, "জুলেখা, তুমি যে আমাকে সঙ্গ দিয়েছ, তা আমার জন্য বড় সান্ত্বনা। আমরা একসাথে আল্লাহর পথে চলব।"
এদিকে, রাজা ইউসুফের প্রতিভা ও তার কাহিনী শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ইউসুফকে বলেন, "তুমি কি আমাদের দেশে খাদ্য সরবরাহ করতে পারবে? দুর্ভিক্ষের সময়ে এ জাতির কর্তৃত্ব তোমার হাতে আছে।" ইউসুফ নিশ্চয়তা দিয়ে বললেন, "হ্যাঁ, আমি খাদ্য সংগ্রহ এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।"
এরপর, ইউসুফ খাবার সংগ্রহে যত্নবান হয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে খাদ্য সংকট মেটাতে উদ্যোগ নেন। তার নাম পুরো রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষ তার জাদুকরী ব্যবস্থাপনায় উপকৃত হয়। এভাবেই তিনি সৎ সিদ্ধান্ত ও আল্লাহর উপর ভরসা করে রাজ্যের মানুষকে রক্ষা করতে থাকেন।
বিশাল সঞ্চয় ও সমৃদ্ধির দ্বারা ইউসুফের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়, অথচ তিনি সর্বদা নিরহঙ্কারী ছিলেন। তিনি ন্যায় ও সত্যের পথে অটলভাবে চলতে থাকেন। এটাই ছিল তার জীবনের লক্ষ্য, যা তিনি সসম্মানে পালন করতেন।
জুলেখাও ইউসুফকে অনুপ্রেরণা দিতে থাকতেন। একদিন, তিনি বললেন, "হে ইউসুফ, তুমি আমাদের জন্য একটি নতুন প্রাণ। তোমার মাধ্যমে আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আল্লাহর প্রতি আমাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হচ্ছে।" ইউসুফ তার কথা শুনে বাকি জীবন ধরে আল্লাহর পথে লেগে থাকার বার্তা দেন।
এভাবেই ইউসুফ আলাইহিস সালাম ও জুলেখার কাহিনী এগিয়ে চলতে থাকে, যেখানে প্রেম, বিশ্বাস, এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ঘটে। এটাই ছিল তাদের মহান যাত্রা, যা ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 40 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী আমাদের শিক্ষা দেয় ধৈর্য, বিশ্বাস এবং ন্যায়ের পথে চলার গুরুত্ব। পর্ব 40 তে আমরা দেখে নেবো ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবনের আরও একটি স্পর্শকাতর অধ্যায়, যখন তিনি ফরাওনের সামনে হাজির হন।
ফরাওন, যে কিনা তার প্রাসাদের উচ্চ আসনে বসে ছিল, ইউসুফ আলাইহিস সালামের চেহারা দেখে বিস্মিত হন। তিনি চিনতে পেরেছিলেন যে, এই যুবকটি বিজ্ঞতা ও জ্ঞানের অধিকারী। ইউসুফ আলাইহিস সালাম অত্যন্ত বিনম্রভাবে ফরাওনের সমীপে দাঁড়িয়ে বললেন, "হে মহান রাজা! স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেওয়া আমার কাজে কিন্তু আমি সর্বদা আল্লাহর ওপর ভরসা করি।"
ফরাওন তার স্বপ্নের বুৎপত্তি ব্যাখ্যা করতে বলেন। ইউসুফ আলাইহিস সালাম স্বামী-পুত্রদের অভাব ও কৃষি সংকট সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, “হে রাজা! তোমার স্বপ্নের অর্থ হলো, আগামী সাত বছর চরান্ত উৎপাদন প্রচুর হবে, এরপরের সাত বছর দুর্ভিক্ষ আসবে। তাই তোমার উচিত, প্রথম সাত বছরে প্রচুর খাদ্য সঞ্চয় করা।”
ফরাওন তার জ্ঞানের জন্য ইউসুফ আলাইহিস সালামের প্রতি অত্যন্ত প্রশংসা প্রদর্শন করলেন। তিনি বললেন, "আমি তোমাকে আমার দেশের খাদ্যশস্যের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করবো। তোমার জ্ঞানের ওপর আমার শ্রদ্ধা আছে।"
এভাবে ইউসুফ আলাইহিস সালাম এক নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন এবং আল্লাহ তাআলা তাকে মর্যাদা ও প্রতিপত্তি প্রদান করলেন। এ অধ্যায়ে আমরা দেখি যে, এক জ্ঞানী ব্যক্তি কিভাবে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করে, সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।
এখন আমরা আশা করতে পারি পরবর্তী পর্বে কিভাবে ইউসুফ আলাইহিস সালাম এবং জুলেখার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তাদের জীবনে কি নতুন ঘটনার জন্ম হয়। নতুন ঘটনা দেখার জন্য প্রস্তুত থাকুন, কারণ এ কাহিনীকে নিয়ে আমাদের আগ্রহ আরও বাড়ছে!
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 39 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী
যখন বিপর্যয় তার শিখরে, তখন এক অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটে। ইউসুফের মনোজগতে অস্থিরতা শুরু হয়। তার মনে কেবল জুলেখার চিন্তা, সেই প্রেমিকা, যে তার প্রতি তার অনুভূতি প্রকাশ করতে দ্বিধা করেনি। কিন্তু অন্যদিকে, রাজকীয় অভিজাতদের মধ্যে থাকা জুলেখার জীবনযাত্রা এবং সামাজিক মর্যাদা, ইউসুফকে বিভ্রান্ত করে।
একদিন জুলেখা ইউসুফের দিকে মৃদু হাসি নিয়ে তাকাল, যেন যেন তার হৃদয় থেকে একটি রুক্ষ চিত্র তুলে ধরতে চায়। “ইউসুফ,” সে বলল, “তুমি কি জানো, আমার প্রতিটি প্রার্থনার জবাব তুমি? এই হৃদয়ে তোমার স্থান যেন নিশ্চিত।”
ইউসুফের হৃদয়ে গালিচার মতো জড়ে উঠল আবেগ। "জুলেখা, তুমি তোমার মর্যাদা, তোমার সমাজের সঙ্গে নিম্ন-পদার্থ লাভ করেছো। আমি কি সত্যিই সেই স্থানটি দখল করতে পারি, যা তোমার জীবনকে উজ্জ্বল করে?"
জুলেখা তার হাত ধরে বলল, "প্রেমের জন্য কোন পন্থা নেই। আমাদের হৃদয়ের গভীরে যে সম্পর্ক, তা কোনো রাজসিকতার পাহাড় ডিঙিয়ে যায়।"
ইউসুফের চোখে জল উঠে এল। “তাহলে আমাকে একবার তোমার সঙ্গে এই পথ চলতে বলো, যেখানে আমি তোমার পাশে থাকতে পারবো। যেখানে রাজসিক সমাজের কূটনীতির চেয়ে আমাদের প্রেমের কথাই গুরুত্ব পাবে।”
জুলেখা নীরবে মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো। তাদের মধ্যে একটি অদৃশ্য শক্তি কাজ করতে লাগল, যেন কোন প্রাচীর ভেঙে যাচ্ছে। সময়ের সাথে, তারা একে অপরকে আরও বেশি করে বোঝার চেষ্টা করতে লাগল।
আশ্বিনের রাতে, তারা দুজন একই আকাশের নীচে বসে একসাথে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে লাগল। ইউসুফ বলল, “আমি জানি, আমাদের গল্পটা সহজ হবে না, কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি দেব, তোমার জন্য সব ঝড় পার হব।”
জুলেখা বলল, “আমরা হৃৎপিণ্ডের ধ্বনি শুনবো। তুমি আমাকে একবার হাত ধরতে পারলে, আমি তোমার পথে সব বিপত্তি মেনে নেব।”
তাদের মধ্যে প্রেমের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছিল। কিন্তু কি বাধা আসবে, তা তো কেবল সময়ই বলে দিবে।
IPL 2025 Highlights Match 29 | DC vs MI
IPL 2025 Highlights Match 28 | RR vs RCB
Is Honey Singh dating Egyptian model Emma Bakr?
Honey Singh attends Emma Bakr's birthday partyHoney Singh attends Emma Bakr's birthday party, bringing along his signature style and vibrant energy that instantly lights up the room. As the beats dropped and the laughter flowed, the atmosphere was electric with excitement. Celebrities and close friends swayed to the music while enjoying delicious delicacies that lined the lavish spread.
Dressed in a trendy outfit that mirrored the colors of the celebration, Honey mingled effortlessly, snapping selfies with fans and sharing stories that made everyone roar with laughter. The highlight of the night was when he took to the mic, performing a few of his chart-topping hits, which had the crowd singing along in joyous harmony.
Emma, the birthday girl, radiated happiness as she cut the cake, surrounded by loved ones and well-wishers. As the candles flickered and the room erupted with cheers, it became clear that this was a night to remember. With Honey Singh adding his star power to the festivities, Emma's birthday bash was not just a party; it was an unforgettable celebration that would be talked about for months to come.
Video Courtesy - Instagram
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 38 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
জুলেখা তার চোখের জলে ইউসুফকে দেখছিল। তার হৃদয় ভরে উঠছিল ব্যথা ও প্রেমের অদ্ভুত মিশ্রণে। ইউসুফের সৌন্দর্য ও গুণাবলীতে সে মুগ্ধ হয়ে পড়েছিল। তার মনে হতো, ইউসুফের বিলাসী জীবন থেকে সে একদমই বিচ্ছিন্ন। কিন্তু, হৃদয়ে প্রেমের আগুন জ্বলতে থাকলে সত্যিই সব কিছু সম্ভব।
ইউসুফ তার চোখে সরলতা ও নিষ্ঠার পরিচয় নিয়ে উপস্থিত হওয়ায়, জুলেখার ভেতর বিশেষ একটি পরিবর্তন ঘটতে শুরু করলো। সে অনুভব করতে লাগলো, এই মানুষটি যেন তার জীবনসঙ্গী। কিন্তু কর্তৃত্ব ও সামাজিক নিয়মের জালে বন্দী সে, যা তাকে ইউসুফের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া থেকে বিরত রাখছিল।
একদিন, যখন সূর্য অস্তমিত হচ্ছিল এবং রাতের নরম হাওয়া বাতাসে খেলা করছিল, জুলেখা ধীরে ধীরে ইউসুফের কাছে এল। ইউসুফ তখন ডানা মেলা স্বপ্নের মতো কিছু চিত্র তৈরি করছিল। তার চেহারা, সেই চিত্রের মতোই সম্মোহক।
"ইউসুফ," জুলেখা সৌরভময় গলায় বলল, "তুমি কি জানো, তোমার হৃদয়ের আবেদন আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?"
ইউসুফ মুখ ফিরিয়ে ঘাসের উপর নিঃশব্দে বসে রইল। সে জানত, তার উপরেও অভিশাপ এসে উপস্থিত হয়েছে - তার সৌন্দর্য। কিন্তু এই মুহূর্তে, তার মনে হচ্ছিল, একান্ত এই মুহূর্তটিকে ধরে রাখতে পারলে সে হয়তো পুরো বিশ্বকে হারাতে রাজি।
"জুলেখা," ইউসুফ অবশেষে বলল, "প্রেম কখনো সহজ নয়। আমাদের মধ্যে অসীম বাধা পড়ে আছে, কিন্তু হৃদয়ে যে সত্যিকারের নার্ত্তক শক্তি, সেটি কি কখনো অস্বীকার করা যায়?"
জুলেখা তার উত্তরে কিছু না বললেও, সে অনুভব করলো তার হৃদয় যেন ইউসুফের কাছে উন্মোচিত হচ্ছে। কষ্ট ও সুখের সমাহারে, এই সম্পর্ক তাদের দুজনকেই এক নতুন দিগন্তে নিয়ে যাচ্ছিল।
তারা বুঝতে পারছিল, প্রেমের এই বাধা তারা একসাথে অতিক্রম করতে পারবে কি না। তবে, তাদের মধ্যে যে গভীর জ্ঞান ও বোধ ছিল, তা হয়তো সব বাধাকে পদদলিত করে পুনরায় প্রেমের পথ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এভাবেই, খোদার হাতে, ইউসুফের যাত্রা শুরু হয়েছিল এক নতুন অধ্যায়ে। তারা দুজন হারিয়ে গেল সেই গভীর অন্ধকারের মধ্যে, যেখানে শুধুই তাদের হৃদয়ের কাহিনী রচিত হয়েছিল।
Jolly LLB Movie Scene | Judgement Day | Arshad WarsiAs the courtroom buzzes with anticipation, Arshad Warsi steps forward, his demeanor a mix of nervousness and determination. The air is thick with tension; all eyes are on him as he prepares to present his case.
"Your Honor," he begins, voice steady yet laced with emotion. "Today isn't just about the law; it's about justice. It's about a man who lost everything because of a reckless act. We are here to ensure that his voice is heard, that the truth prevails.”
The judge, with a stern expression, nods for him to continue. The opposing counsel leans back, wearing a smirk that speaks volumes of their assumed victory.
Arshad takes a breath, glancing at the victim's family seated in the front row. Their eyes, filled with hope and despair, urge him to fight harder. “Justice is not just a privilege for the powerful; it is a right for the innocent. This is not merely a case—it is a representation of what we, as a society, stand for.”
He gestures towards the evidence—photos, witness statements, and the critical pieces that weave together an undeniable narrative. The jurors lean in, intrigued. Arshad deftly connects the dots, illustrating a picture that encapsulates the betrayal of trust, the pain of loss, and the urgent need for accountability.
“Your Honor, I urge you to look beyond the surface. Yes, the law is the law. But empathy—humanity—is what shapes it. If we turn a blind eye today, we pave the way for repeat offenders and a greater injustice tomorrow. We have to stand for the forgotten, the voiceless.”
A murmur ripples through the courtroom as he finishes his impassioned plea. He stands tall, embodying the spirit of every underdog who dares to challenge the status quo. As the judge prepares to respond, Arshad knows that whatever the outcome, he has given it everything. The battle for justice has only just begun, and he is ready to see it through to the end.
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 37 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী-
এখন আমরা দেখব, কিভাবে নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেন। যখন তিনি মিশরের দারবেশী আলীফের বাড়িতে বাস করতে শুরু করেন, তখন সেখানকার পরিবেশ তার জন্য কতটা উদ্বেগপূর্ণ হতে পারে। আলীফ তাকে বাড়ি বাঁধাতে সাহায্য করেন এবং একদিন তাকে বলেন, "হে ইউসুফ, তুমি একজন মহান ব্যক্তিত্ব, আল্লাহ তোমাকে এমন গুণে দান করেছেন যা অন্য কারও নেই। তোমার এই গুণাবলীকে কাজে লাগিয়ে তুমি সমাজের উন্নতি ঘটাতে পারো।"
নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম আলীফের কথা শুনে গভীর ভাবে চিন্তা করতে থাকেন। তিনি বুঝতে পারেন যে, মিশরের সমাজে এখনও অনেক অন্ধকার রয়েছে, মানুষের মধ্যে বিভেদ এবং অবিচার বেড়ে চলেছে। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আল্লাহর সাহায্যে সমাজের জন্য কিছু করবন।
এদিকে, জুলেখার মনে ইউসুফের প্রতি প্রেম এক নতুন গভীরতা পেয়েছে। কিন্তু সে জানতো, ইউসুফ আলাইহিস সালাম কখনো তার দিকে নজর দেবেন না। তাই সে তার ভালোবাসার প্রকাশ করতে কষ্ট বোধ করছিল। একদিন সে ইউসুফের জন্য একটি বিশেষ উপহার তৈরি করে এবং দীঘল চুলে জড়ানো একটি পুষ্পমালাও দেয়।
নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম সেই উপহার গ্রহণ করেন কিন্তু তার মনে সাফ সংবোধ ছিল; তিনি জানতেন, এটি একটি অশুদ্ধ অনুরাগ। তিনি নিজেকে আল্লাহর পথে নিবেদিত রাখার চেষ্টা করেন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন।
এভাবেই ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবন আবার নতুন বাঁকে প্রবাহিত হতে থাকে। তিনি মিশরের সমাজে মহান দার্শনিক ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হতে শুরু করেন। তার বিরুদ্ধেও অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়, কিন্তু আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তার মাধ্যমে সব কিছু অতিক্রম করতে সক্ষম হন।
নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের এই কাহিনী আমাদের শিক্ষা দেয় যে, সততা, কান্ডকারখানা এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বস্ত থাকার মাধ্যমে আমরা সকল বাধা অতিক্রম করতে পারি। আমরা যেন আমাদের জীবনে ইউসুফের মত সাহসী ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে চলতে পারি।
এভাবে, প্রতিটি পর্বে নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবন কাহিনী আমাদের প্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে। رضي الله عنهم أجمعين
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 36 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
জুলেখা যখন ইউসুফকে প্রথম দেখেন, তখন তার হৃদয়ে এক অদ্ভুত আকর্ষণ জেগে ওঠে। মন থেকে সেই অনুভূতি সরাতে পারেন না তিনি। কিন্তু সমাজে তার অবস্থান ও ঐক্য বুঝে ইউসুফের কাছে যেতে সাহস পেতেন না। ইউসুফের সৌম্য বর্ণ, অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব এবং দৃষ্টিতে এক অদ্ভুত প্রশান্তি ছিল, যা জুলেখার মনে দোলা দিতে শুরু করে।
একদিন, জুলেখা সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি ইউসুফের সাথে একান্তে কিছু সময় কাটাবেন। তিনি জানতেন, ইউসুফ একজন ন্যায়পরায়ণ মানুষ, কিন্তু তার অন্তরে ব্যাপক প্রেমের স্রোত বইছে। তিনি ইউসুফকে ডাকলেন, "আসো, তোমার সাথে কিছু সময় কাটাতে চাই।" ইউসুফ তখন খাবার প্রস্তুত করছিলেন এবং একমনে কাজ করছিলেন।
জুলেখার আহ্বানে ইউসুফ্ কিছুটা অবাক হলেও তার আন্তরিকতা বুঝতে পারলেন। "জুলেখা, আমি সবসময় তোমার সাথে থাকতে প্রস্তুত। কিন্তু মনে রেখো, আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হতে হবে নৈতিকতা ও মর্যাদা।" ইউসুফের কথা শুনে জুলেখা আরও গভীরভাবে মুগ্ধ হন।
তারা দুজনেই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন, তাদের মধ্যে যেন এক অদৃশ্য সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে। তারা তাদের নিজেদের জীবনের গল্প বিনিময় করতে লাগলেন। ইউসুফ তার দুঃখ যখন শেয়ার করলেন, জুলেখা বুঝতে পারলেন যে তিনি শুধুমাত্র একজন সুদর্শন যুবক নয়, বরং একজন প্রজ্ঞার প্রতীক।
যেন সময় থেমে গেল, তারা কথা বলতে বলতে অন্ধকার থেকে আলোয় প্রবেশ করলেন। জুলেখার মনের গহীনে একটা সংকল্প তৈরি হলো—কিভাবে তিনি ইউসুফের সাথে তার অন্তরের মিলন ঘটাতে পারেন।
কিন্তু এই সম্পর্ক নিয়ে সমাজের দ্বন্দ্ব স্বাভাবিক ছিল। সমাজের নিয়ম, কুসংস্কার, এবং পরিবারটি কখনোই তাদের প্রেমকে মেনে নেবে না। এ কথা ভাবতেই জুলেখার মনে চিন্তা আসে, “আমাদের কি সত্যিই একসাথে থাকতে পারবো?”
সেই রাতে, তাদের কথোপকথন চলতেই থাকে। আকাশের তারা গুলোর মতো তারা দুজনের হৃদয়েও এক আশা জাগে—ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। ইউসুফ বলেন, "আমরা যদি একসাথে হতে পারি, তাহলে আমাদের প্রেম যেন সব বাধা অতিক্রম করে।"
এভাবেই চলতে থাকে তাদের জীবনের একটি নতুন অধ্যায়, যেখানে প্রেম, আতিশায়ী এবং চ্যালেঞ্জ প্রতিটি পর্বে যুক্ত হতো; আর তাঁদের প্রেমের গল্প যেন মহাকাব্যের মতো গাঁথা হতে চলেছিল।
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 35 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
যখন ইউসুফের নাম সারা মিসরে ছড়িয়ে পড়ল, তখন জুলেখার মনে নতুন আশা জেগে উঠল। সে প্রতিদিন তার অন্তরে ইউসুফের প্রেমে হাহাকার করছিল। সে জানত ইউসুফ তার জীবনে ফিরে আসবে, কিন্তু তার এড়িয়ে যাওয়া প্রতিটি মুহূর্ত তাকে আরও কষ্ট দিচ্ছিল।
একদিন রাতে, জুলেখা একটি স্বপ্ন দেখল, স্বপ্নে ইউসুফ তার কাছে এসেছেন, তার কোমল হাসি ও আকর্ষণীয় মুখাবয়ব থমকে দিলো। তার মনে হলো, এটি একটি সংকেত। সে সজাগ হল এবং সিদ্ধান্ত নিল, ইউসুফকে আবার একবার দেখা দরকার।
জুলেখা সাহসী হয়ে তার স্বামীকে বলল, “আমি ইউসুফের সাথে দেখা করতে চাই।” স্বামী অবাক হয়ে গেল, কিন্তু জুলেখা তার নাছোড়বান্দা আবেগকে প্রশমন করতে পারল না। স্বামী শেষ পর্যন্ত তাকে অনুমতি দিল, যদিও সে মনে মনে চিন্তিত ছিল।
জুলেখা ইউসুফের কাছে চলে গেল। তার হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে গেল। ইউসুফকে কাছে পেয়ে প্রথমে তার শ্বাস আটকে গেল। তখন ইউসুফ শান্ত স্বরে বলল, “জুলেখা, তুমি কেন এসেছ?”
জুলেখার চোখের কোণে জল এসে গেল। সে বলল, “আমি তোমার প্রতি আমার অনুভূতি অস্বীকার করতে পারিনি। আমি জানি, তুমি আমাকে ক্ষমা করুন। কিন্তু আমার হৃদয় তোমার সঙ্গেই জড়িত।”
ইউসুফের মনে কিছুটা চাঞ্চল্য উপস্থিত হলো। “জুলেখা, আমি তোমার হৃদয়ের কথা বুঝতে পারি। তবে আমি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। আমার জীবন এখন আমার একমাত্র প্রিয় সৃষ্টির জন্য নিবেদিত।”
জুলেখা হতাশ হয়ে বলল, “তুমি আমাকে ভুল বোঝো না। আমি পুরোপুরি তুমি সম্পর্কে জানি, কিন্তু আমি শুধু তোমার পাশে থাকতে চাই। তোমার শুভকামনা আমার চিরকাল থাকবে।”
ইউসুফের চোখে করুণা ফুটে উঠল। সে জানত জুলেখার অনুভূতি সত্যি, কিন্তু তার স্থান আল্লাহর নির্দেশনায়।
“আমরা সৃষ্টি করেছি যারা তাদের অন্তরে স্থিরতার জন্য। শুনো, আমি কেবল আল্লাহর রহমতের জন্য অপেক্ষা করছি। তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে আল্লাহর পথে চলতে সহযোগিতা কর।”
জুলেখা তখন বুঝল, ইউসুফের সাথে তার ভালোবাসা কখনও পূর্ণ হবে না, কিন্তু সে এ প্রেমের জন্য তারা বর্তমানে আলাদা।
এভাবে দিন কাটতে লাগল। ইউসুফ তার কাজে মনোনিবেশ করতে লাগলেন, আর জুলেখা একাকী প্রতিদিন ইউসুফের ভেতরকার মহানুভবতা ও চরিত্রের আলোকে জীবন কাটাতে লাগল। তাদের জীবন চলছিল ডালপালায়, কিন্তু উভয়ের হৃদয়ে ছিল এক গভীর সংযোগ।
আমি দেখবো, তাদের প্রেমের এই অনন্য যাত্রা কীভাবে চলতে থাকে, যার গভীরতা ও জটিলতা অভূতপূর্ব।
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 34 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
এবার ঘটনার মোড় নিতে চলেছে। জুলেখা ঠিক করে নেয়, তার হৃদয়ের গহীনে এক অদ্ভুত অনুভূতি আসছে। সে মনে মনে ভাবতে থাকে, “ইউসুফ কি আমাকে সত্যি ভালোবাসে? অথবা এটা শুধু আমার স্বপ্ন বোনা?” তার মনে ভেসে ওঠে ইউসুফের মোহনীয় মুখ, সেই ঠোঁটের হাসি এবং তার কথা শোনার মিষ্টি সুর।
একদিন, যখন সবাই রাজ প্রাসাদের কর্মব্যস্ততায় ব্যস্ত ছিল, জুলেখা সুযোগ দেখে ইউসুফের কাছে যায়। সে জানে, এই মুহূর্তে কথা বলার আগেই তাকে বেশ সাহসী হতে হবে। ইউসুফ সেখানে অস্থিরভাবে কিছু কাজ করছিল। জুলেখার উপস্থিতি তার মনে এক অদ্ভুত আনন্দ জাগিয়ে তোলে।
“ইউসুফ,” জুলেখা বলল, “তুমি কি জানো, আমি তোমাকে কত ভালোবাসি?”
ইউসুফ startled হয়ে তাকাল। তার মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, কিন্তু সে নিজেকে সংবৃত রাখে। সে সূক্ষ্ম গলায় বলল, “জুলেখা, এই কথা শুনে আমি নিঃসন্দেহে খুশি। কিন্তু আমাদের সম্পর্কের সীমা জানলে কি তুমি অনুসরণ করতে পারবে?”
জুলেখা হেসে বলল, “সীমার কোনো মূল্য নেই যদি প্রেমের কথা হয়। আমি তোমাকে চাই, যদি তুমি আমার অভিপ্রায় বুঝে ভেঙে দাও সামাজিক সকল বাধা।”
ইউসুফ নিজের মনে ভাবতে থাকে। এ ধরনের গভীর প্রেমের সত্ত্বেও, সে জানে যে এখানে অনেক কিছুর বিনিময়ে আসে, সমাজ, প্রথা এবং পরিবার।
“জুলেখা, তুমি জানো, আমি তোমাকে ভালবাসি, কিন্তু আমাদের পরিণতি কি হবে সে কথা আমাকে ভাবতে হবে,” ইউসুফ বলল, শান্ত গলায়।
এভাবেই তাদের মাঝে প্রেমের একটি সূচনা হলেও, সেই প্রেমের আগুনে প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসতে থাকে। জুলেখা আর ইউসুফের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, তাদের হৃদয়ের দ্বন্দ্ব, এবং একে অপরের জন্য অসীম প্রেমের দৃঢ়তা, এসব কিছুকে সামনে নিয়ে আসবে পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে।
আসুন, আমরা অপেক্ষা করি পর্ব 35 এর জন্য, যেখানে এই প্রেমের গল্প নতুন দিকে মোড় নেবে।
IPL Highlights Match 27 | SRH vs PBKS
As the sun set over the vibrant city of Hyderabad, the excitement in the air was palpable. Match 27 of the Indian Premier League featured the Sunrisers Hyderabad (SRH) taking on the Punjab Kings (PBKS) in what promised to be an exhilarating clash.
The stadium was filled to the brim with fans donning their team's colors, the orange and maroon creating a dazzling sea of enthusiasm. The toss saw SRH captain Aiden Markram opt to bowl first, citing the dew factor that often comes into play during evening games.
Punjab Kings started their innings with a steady approach, despite the loss of their opener early on. Shikhar Dhawan, the experienced leader, anchored the innings with a combination of cautious defense and selective aggression. He found a reliable partner in Liam Livingstone, who exploded in a flurry of boundaries, keeping the scoreboard ticking.
The SRH bowlers fought back valiantly, with Bhuvneshwar Kumar and Umran Malik combining pace and variation to pick crucial wickets at regular intervals. The middle overs saw some exceptional fielding, with catches being taken and boundaries being saved, all contributing to the building pressure on the PBKS batting lineup.
As the innings progressed, Punjab Kings managed to put together a competitive total of 175 runs on the board. The SRH fans were hoping their batting lineup could chase down the target and secure a much-needed victory in the tournament.
In response, Sunrisers Hyderabad started their innings with a sense of urgency, as Mayank Agarwal and Rahul Tripathi lit up the early overs with aggressive strokes. Both batsmen took calculated risks, finding gaps and punishing bad deliveries. However, the Punjab bowlers, led by Kagiso Rabada, kept their composure and struck at critical moments to bring the game back in balance.
As the match neared its climax, it was a nail-biting finish, with the required run rate climbing steadily. Outstanding performances from both sides kept the audience on edge. In the end, it was a thrilling showdown, showcasing the spirit of T20 cricket and leaving fans craving for more action in the IPL.
With the match wrapped up, the players shook hands, acknowledging the fierce competition displayed on the field. The atmosphere was electric as spectators relished the highlights of a match that delivered all the drama and excitement synonymous with the IPL.
The red flag symptoms of dehydration that you may not be aware of can manifest in surprising ways. While most of us are familiar with the common signs like thirst and dry mouth, there are more subtle indicators that can often go unnoticed.
One such symptom is fatigue or lethargy; when your body lacks sufficient fluids, it can lead to an overall sense of tiredness. You might find it difficult to concentrate or feel unusually irritable. These cognitive shifts are often brushed off as stress or lack of sleep, but they could be your body's way of signaling that it needs hydration.
Another sneaky clue can be the color of your urine. While a pale yellow usually indicates proper hydration, a dark yellow or amber hue can suggest that your body is in desperate need of fluids. Don’t ignore the body’s gentle prompts—pay attention to what your urine is telling you.
Moreover, dry skin can also be a warning sign. If your skin feels rough or loses its elasticity, it might be time to refocus on your water intake. Dehydration can lead to a decrease in skin turgor, making it less supple and prone to irritation.
In some cases, headaches can develop as a result of inadequate hydration. You may confuse them with tension headaches, but they can be tied directly back to thirst. Missing the hydration mark can affect vascular function, leading to discomfort in your head.
Lastly, a feeling of dizziness or lightheadedness, especially when standing up quickly, could be an alarming symptom of dehydration. This occurs due to a drop in blood volume, which can make you feel faint. If you experience these sensations frequently, it is crucial to assess your fluid intake.
Awareness of these red flag symptoms can be key to maintaining your health. Remember, drinking water throughout the day, not just when you feel thirsty, can make a significant difference in how you feel overall. Stay proactive about hydration, and your body will thank you.
Awareness Social Video | Viraltubex
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 34 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম এর কাহিনীর এই নতুন পর্বে আমরা দেখব কিভাবে তিনি তাঁর পিতার কাছে ফিরে আসার জন্য প্রত্যাগত হন। একসময়, যখন তিনি তাঁর ভ্রাতাদের সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটান, তখন তাঁদের মধ্যে এক অদ্ভুত অনুভূতি দেখা দেয়। ভ্রাতারা তাঁদের পূর্বের ভুলের কথা স্মরণ করে অত্যন্ত অনুতপ্ত হয়, এবং ইউসুফ আলাইহিস সালাম তাদেরকে ক্ষমা করে দেন জানিয়ে যে, তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর বিচক্ষণতা এবং সাহসের কথা উল্লেখযোগ্য, কারণ রাষ্ট্রের শাসক হয়ে উঠলেও তিনি কখনো তাঁর নৈতিকতা ও বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি জুলেখার প্রতি তাঁর নিষ্ঠার চিত্র তুলে ধরেন এবং জানান যে, জীবনের নানান পরিস্থিতির মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গি ও ধৈর্য্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, জুলেখার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন ঘটে। ইউসুফ আলাইহিস সালামের পরিচয়ে তাঁর হৃদয়ে এক নতুন আলোর সঞ্চার হয়। তিনি বুঝতে পারেন, সত্যিকার ভালোবাসা এবং মুক্তির পথ কিভাবে অর্জন করতে হয়। তাঁর জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়, যেখানে তিনি সংঘাতের পরিবর্তে সহযোগিতার পথ বেছে নেন।
এভাবে, ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবনকাহিনী আমাদের শিক্ষা দেয় যে, মুখোমুখি হওয়া সংকটগুলোই আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে উচ্চতর স্থানে নিয়ে যেতে পারে। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ ও বিপর্যয়ে আল্লাহর পরিকল্পনাকে বিশ্বাস করা গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা সবকিছুর মধ্যে আমাদের জন্য হেদায়েত রেখেছেন, যাতে আমরা সঠিক পথে চলতে পারি।
এই পর্বের মাধ্যমে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ন বার্তা গ্রহণ করি, তা হলো ক্ষমা করা এবং পরস্পরের প্রতি বিনয়ের মনোভাব রাখতে হবে। আসুন, আমরা এই শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করি, যেন আল্লাহর রহমত ও সহানুভূতি আমাদের অবিরত সঙ্গী হয়।
পরবর্তী পর্বে আরও নতুন দৃষ্টিকোণ ও পাঠ দিয়ে ফিরে আসব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন।
ইউসুফ জুলেখা পর্ব 32 | বাংলায় নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের কাহিনী -
এখন আমরা পূর্বোক্ত ঘটনাগুলোর পরের পরিস্থিতি আলোচনা করবো। যখন জুলেখা তাঁর শক্তি ও প্রতিশ্রুতি হারাতে শুরু করেছিলেন, তখন ইউসুফ আলাইহিস সালাম তাঁর দৃষ্টিতে আরও উচ্চমানের এক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। জুলেখার প্রতি তাঁর নিখাদ সততা ও নৈতিকতা তাঁকে এক নতুন অবস্থানে নিয়ে যায়।
অবশেষে যখন জুলেখা নিজেকে হারিয়ে ফেললেন, তখন তিনি ইউসুফের কাছে এসে বলেন, "তুমি এত শ্রেষ্ঠ, তবুও কেন তুমি আমাকে উপেক্ষা করছ?" ইউসুফ আলাইহিস সালাম বললেন, "আমার মনে এই সত্য বসবাস করে যে, আল্লাহর রাস্তায় যাত্রা করা কখনোই ভুল নয়। তোমার হৃদয়ে যদি আমার প্রতি প্রেম থাকে, তবে তা আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে নয়।"
ইউসুফ আলাইহিস সালাম তাঁর সৎ ও সত্যিকার ধর্মপরায়ণতায় ছিলেন। তিনি বলেন, "আমি নিজেকে আল্লাহর কাছে সপে দিয়েছি এবং তাঁর নির্দেশনা অনুসরণ করাই আমার উদ্দেশ্য। আমি কখনো সেই পথে যাব না যা আমাকে তাঁর থেকে দূরে নিয়ে যাবে।"
জুলেখার হৃদয়ে যেহেতু প্রেম ফুটিয়ে ওঠে, সেহেতু তিনি অনুভব করেন যে ইউসুফ আলাইহিস সালামের প্রতি তাঁর প্রেম আল্লাহর দৃষ্টিতে ভুল। একদিন তিনি ইউসুফকে বললেন, "আমি তোমার সঙ্গ পাওয়ার প্রার্থনা করছি।" ইউসুফ আলাইহিস সালাম শান্তির সঙ্গে বললেন, "আল্লাহর পথেই আমরা চলবো, কারণ তাঁকে রাজি করা আমাদের প্রথম কর্তব্য।"
এভাবেই তাদের মধ্যে একটি গভীর শিক্ষা তৈরি হলো। ইউসুফ আলাইহিস সালাম সত্য এবং নৈতিকতার জন্য সংগ্রাম করতে থাকলেন, এবং জুলেখা তাঁর জীবনকে আল্লাহর দিকে পরিচালিত করার চেষ্টা করলেন।
এখন আমাদের আগামী পর্বে ঘটনার পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যেতে হবে, যেখানে আল্লাহর পরিকল্পনা ক্রমশ উন্মোচিত হচ্ছে। ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন আল্লাহর মহান পরিকল্পনার অংশ।
চলুন অপেক্ষা করি পরবর্তী পর্বে, যেখানে আমরা আরও গভীরভাবে যোগ দেব এই অনন্য কাহিনীতে।